Header Ads

Header ADS

২০টি ফ্যাশন টিপস মেনে চলে

২০টি ফ্যাশন টিপস মেনে চলে


সঠিকভাবে ফ্যাশন করতে গেলে মেনে চলুন এই টিপসগুলি

১। শরীরের গঠন অনুযায়ী পোশাক পরুন।

২। সব পোশাকের সঙ্গে কিন্তু এক রকমের অন্তর্বাস পরা যায় না। শাড়ির সঙ্গে যেমন অন্তর্বাস আপনি পরতে পারবেন, সেরকম অন্তর্বাস আপনি টি-শার্ট বা শার্টের সঙ্গে পরতে পারেন না (practical fashion tips)।


৩। অন্তর্বাস কেনার সময় ভাল কোয়ালিটির জিনিসটিই কিনুন। এতে যদি দাম একটু বেশিও পড়ে, তা হলেও আপোস করবেন না।

৪। আপনার আলমারিতে অন্তত তিন চারটি স্কার্ফ রাখুন। স্কার্ফ যে শুধু শীতকালেই পরা যায় তা তো নয়, আপনি ভারতীয় পোশাকের সঙ্গে এবং মোটামুটি সব ঋতুতেই স্কার্ফ ব্যবহার করতে পারেন (practical fashion tips)। সুতি, উল, সিল্ক, নানা ফ্যাব্রিকের স্কার্ফ রাখুন।

৫। আলমারি গোছানো একটা ঝকমারি ব্যাপার। কিন্তু কোথাও যাওয়ার আগে ‘আমার পরার মতো কিছুই নেই’ বলে কান্নাকাটি করাটা আরও বেশি বিরক্তিকর। কাজেই প্রতি তিন মাসে একবার করে অন্তত আলমারি গোছান। যে পোশাকগুলো আপনার ফিট হয় না বা বহুকাল পরেনই না, সেগুলো কাউকে দিয়ে দিন বা রিসাইকেল করে নিন।

৬। ফ্যাশন মানেই শুধুমাত্র পোশাক কেনা বা পরা নয়, অ্যাকসেসরিজও কিন্তু ফ্যাশনের একটা বড় অংশ। আপনি কোন পোশাকের সঙ্গে কেমন অ্যাকসেসরিজ পরছেন বা ক্যারি করছেন সে বিষয়েও আপনার সঠিক ধারণা থাকা উচিত।

৭। সাধারণ কিছু রঙের পোশাক ও অ্যাকসেসরিজ অবশ্যই আলমারিতে রাখুন। এর মধ্যে সাদা ও কালো রঙের পোশাক থাকাটা মাস্ট (practical fashion tips)।

৮। নানা রকমের জুতো বা ব্যাগ অনেকেই পছন্দ করেন। কিন্তু সবসময়ে এত ফ্যাশন অ্যাকসেসরিজ কেনা সম্ভব হয় না। একটা কালো রঙের জুতো এবং কালো একটি হ্যান্ডব্যাগ অবশ্যই প্রতিটি মহিলার আলমারিতে থাকা উচিত।

৯। যখন কোনও নকশা করা বা প্রিন্টেড পোশাক পরবেন, একসঙ্গে নানারকমের রং বা প্রিন্ট মিশিয়ে ফেলবেন না। যদি আপনি লম্বা স্ট্রাইপের শার্ট পরেন সেক্ষেত্রে স্কার্ট বা প্যান্টস হয় একরঙা পরুন অথবা ওই একই প্রিন্টের পরুন। (practical fashion tips)আবার যদি আপনার শাড়িতে ছোট ছোট কোনও নকশা বা প্রিন্ট থাকে, তাহলে ব্লাউজ পরুন একরঙা বা জ্যামিতিক নকশার ব্লাউজও চলতে পারে।

১০। আপনার মুখের গড়ন অনুযায়ী সানগ্লাস পরুন। আপনার মুখের গড়ন যদি গোল হয় সেক্ষেত্রে আয়তাকার ফ্রেমের সানগ্লাস মানাবে, আবার যদি মুখের আকার ছোট হয় সেক্ষেত্রে ক্যাটস আই ফ্রেম ট্রাই করতে পারেন।

১১। বিয়েবাড়িতে বা কোনও অনুষ্ঠানে সনাতনী ভারতীয় সাজে সাজলে একসঙ্গে সব গয়না পরবেন না। যদি সোনার গয়না পরেন, সেক্ষেত্রে একইসঙ্গে কস্টিউম বা রুপোর গয়না পরবেন না। দেখতে খুব খারাপ লাগে। সময় ও অনুষ্ঠান বুঝে পোশাকের সঙ্গে মানানসই গয়না পরুন।

১২। যদি আপনার ভুঁড়ি থাকে এবং আপনি আপনার ছোট্ট ভুঁড়িটিকে চট করে লুকিয়ে ফেলতে চান, সেক্ষেত্রে ম্যাক্সি ড্রেস পরতে পারেন। সঙ্গে কোমরে অবশ্যই চওড়া বেল্ট পরতে ভুলবেন না (practical fashion tips)।

১৩। যাঁদের শরীর একটু গোলগাল, তাঁরা কখনওই সরু বেল্ট পরবেন না। চাইলে একটু ঢিলেঢালা শ্রাগ পরতে পারেন।

১৪। দিনের ও রাতের অনুষ্ঠানের পোশাক কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা হওয়া উচিত। কিন্তু যদি আপনাকে অফিস থেকে কোনও অনুষ্ঠানে সরাসরি পৌঁছতে হয়, সেক্ষেত্রে একটি এক্সট্রা পোশাক ক্যারি করুন এবং অফিস থেকে বেরনোর আগেই সেজে নিন।

১৫। স্লিম ফিট প্যান্টস পরতে যদি ভালবাসেন, সেক্ষেত্রে মানানসই টপ দিয়ে তবেই স্লিমফিট প্যান্টস পরুন।

১৬। যদি আপনি ভাবেন যে দিনের বেলা লাল রঙের লিপস্টিক লাগাতে পারবেন না, তাহলে এই ধারণাটি মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন। লালের নানা শেড হয়, সময় অনুযায়ী লাগিয়ে নিন।

১৭। দামি পোশাক ও অ্যাকসেসরিজ ক্যারি করলেই ফ্যাশনিস্তা হয়ে যাওয়া যায় তা কিন্তু নয়। অনেকসময়ে তুলনামূলক কম দামের পোশাক দিয়েও আপনি বাজিমাত করতে পারেন।

১৮। সোয়েটার বা শালে অনেকসময়ে রোঁয়া ওঠে। সেক্ষেত্রে ব্যবহার করার আগে একবার হালকাভাবে পিউমিক স্টোন ঘষে নিন, রোঁয়া দূর হবে (practical fashion tips)।

১৯। দূরে কোথাও বেড়াতে গেলে বা অনেকক্ষণ বাইরে থাকতে হতে পারে, এমন দিনে জাম্পসুট পরা এড়িয়ে চলুন। কারণটা আশা করি আর বলে দিতে হবে না!

২০। পরিশেষে, আপনি যেভাবেই ফ্যাশন করুন না কেন, দিনের শেষে আপনি আপনার সাজ কীভাবে ক্যারি করছেন, আপনি কতটা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে পোশাকটা পরেছেন, সেটাই ম্যাটার করে।

 

No comments

Powered by Blogger.